গুয়াংসি ব্লাক আখ(Guangxi Black Sugarcane)
চাইনিজ নাম “广西黑皮甘蔗” হচ্ছে দক্ষিণ চীনের গুয়াংসি প্রদেশের স্থানীয় একটি উন্নত বানিজ্যিক আখের ভেরাইটি যেটি টেবিল ফ্রুট অর্থাৎ ফল হিসেবে খাওয়ার জন্য এবং চিনি উৎপাদন উভয়ের জন্যই প্রসিদ্ধ।
আমাদের বাংলাদেশে প্রচলিত আখের জাত গুলো বানিজ্যিক ও অধিক উৎপাদনশীল হলেও ফল হিসেবে খাওয়ার জন্য সুইটেবল নয়। বাংলাদেশের প্রচলিত দেশী আখ গুলোর মিষ্টতা কম, শক্ত, চিকন এবং কোন আফ্টারটেস্ট নেই।
প্রক্ষান্তরে আমাদের আমদানি করা চাইনিজ এই আখের প্রজাতিটি খেতে সুস্বাদু, উচ্চ ফলনশীল, মিষ্টটা বেশী, আলাদা ঘ্রাণ এর সাথে এটি একটি উন্নত প্রজাতির আখের জাত।

দক্ষিণ চীন আখ উৎপাদনে পৃথিবীর অন্যতম সর্বোচ্চ এবং দক্ষিন চীনেই পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত আখের প্রজাতি গুলো পাওয়া যায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত ও চীনের সবচেয়ে বেশী চাষ হওয়া ৫ টি আখের প্রজাতির একটি এটি।
চীনে সবচেয়ে বেশী চাষ হয় ওয়াম্পি সুগারক্যান এবং এই ব্লাক সুগারক্যান প্রজাতি দুটো।

আমাদের গ্রীন স্টেশন এগ্রোতে এ জাতের আখ গতো বছর মার্চ নাগাদ তাইওয়ান থেকে আমদানি করে নিয়ে আসা হয়েছে।

এ জাতের বেসিক কিছু তথ্য,
এটি সাধারণত ৩ মিটার লম্বা হয় এবং কাণ্ডের ব্যাস *২ থেকে ৫ সেন্টিমিটার* হয়। এর কাণ্ড কালো রঙের এবং ফুলের নিচের অংশে সাদা সূক্ষ্ম লোম দেখা যায়।

পাতা ও গাছের গঠন
– পাতা: সমতল ও চওড়া, দৈর্ঘ্যে *৪০-৮০ সেন্টিমিটার* এবং প্রস্থে *২০-৬০ সেন্টিমিটার*। পাতার মাঝখানে সাদা মোটা শিরা থাকে।
– *কাণ্ড:*ফুলের অংশের নিচে সূক্ষ্ম সাদা লোম দেখা যায়।
– *ফুল:* ফুলের দণ্ডে সূক্ষ্ম লোম থাকে এবং ছোট ফুলগুলো লম্বাটে আকৃতির হয়।

# চাষ পদ্ধতি ও ফলন
কালো খোলস আখ সাধারণত চারা গাছ দিয়ে চাষ করা হয়। রোপণের পর দ্রুত শিকড় গজায় এবং গাছের গোড়া থেকে নতুন কচি চারা বের হয়।

ফসল কাটার সময় কেবল কাণ্ড কাটা হয়, শিকড় মাটিতে রেখে দেওয়া হয়। এই শিকড় থেকে আবার নতুন চারা গজায়, যাকে *‘宿根’ (সুকন বা পুরাতন শিকড় থেকে গজানো)* বলে।

একবার রোপণ করলে এই আখ থেকে *৩ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত* ফলন পাওয়া যায়। চীনে সাধারণত *৩ বছর* ফলন নেওয়ার পর পুরাতন শিকড় তুলে ফেলা হয়।

# উৎপাদন ও উপকারিতা
এই আখ উচ্চ আলো সহ্য করতে পারে এবং কম পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইডে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। ফলে এর *ফলন বেশি* হয় এবং আর্থিকভাবে লাভজনক

Guangxi Black Sugarcane

The Chinese name “广西黑皮甘蔗” refers to a high-quality commercial variety of sugarcane native to Guangxi Province in southern China. This variety is famous for being suitable both as a table fruit and for sugar production.

In Bangladesh, the commonly cultivated sugarcane varieties are highly commercial and productive, but they are not suitable for eating as fruits. The local sugarcanes in Bangladesh have low sweetness, are hard, thin, and lack any aftertaste. In contrast, the imported Chinese variety is delicious, highly productive, sweeter, and has a distinct fragrance, making it an advanced sugarcane variety.

Southern China is one of the highest sugarcane producers globally, and the best varieties of sugarcane can be found there. This variety is one of the five most cultivated sugarcane types in China. The two most cultivated varieties in China are Wampi Sugarcane and Black Sugarcane.

At Green Station Agro, we imported this variety from Taiwan around March of last year.

*Basic Information about the Variety:*
– It generally grows up to *3 meters* in height, with a cane diameter ranging from *2 to 5 centimeters*. The cane is black in color, with fine white hairs seen at the bottom of the flower part.

*Leaf and Plant Structure:*
– Leaves: Flat and wide, with lengths ranging from *40-80 centimeters* and widths from *20-60 centimeters*. A thick white vein runs down the middle of the leaf.
– Cane: Fine white hairs are visible beneath the flower part.
– *Flower:* The flower stalk has fine hairs, and the small flowers are elongated.

*Cultivation Method & Yield:*
Black-skinned sugarcane is typically cultivated from saplings. After planting, the roots grow quickly, and new shoots emerge from the base of the plant.

When harvesting, only the cane is cut, and the roots are left in the soil. New shoots will emerge from these roots, known as *‘宿根’ (Sukon or shoots from old roots)*.

Once planted, this sugarcane can yield crops for *3 to 8 years. In China, after **3 years* of harvesting, the old roots are usually removed.

*Production & Benefits:*
This sugarcane can tolerate high light levels and thrives in low carbon dioxide conditions. As a result, it has a *high yield* and is *economically profitable*.